অজি'দের কঠিন শর্তে আটকে গেলেন মুশফিক




১'জুলাই ২১

গত বছর এপ্রিলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে আশার কথা ছিলো অস্ট্রেলিয়ার। করোনা ভাইরাসের প্রকোপে সেই সফরটি স্থগিত হয়। অবশেষে গত ২৯ জুলাই'২১ বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৪টায় ৫ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলার জন্য হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবরতন করেন অজিরা।করোনাভাইরাস মহামারির বিবেচনায় এই সিরিজ হচ্ছে কঠিন সুরক্ষা বলয়ের শর্ত মেনে।

আগামী ৩,৪,৬,৭,৯ আগষ্ট মিরপুর শের এ বাংলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্ট্যাডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। পারিবারিক কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে না খেললেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা খেলতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। কিন্তু তিনি চাইলেও সম্ভব হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া কঠিন শর্ত আটকে দিল তাকে।

অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া শর্তগুলোর একটি ছিল, অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশে আসার অন্তত ১০ দিন আগে খেলোয়াড়, আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

জিম্বাবুয়ে সফরে সুরক্ষা বলয়ে থাকা ক্রিকেটাররা দেশে এসেই হোটেলে আরেক বলয়ে ঢুকে গেলেও,বাধ সেধেছে মুশফিকের বেলায়।

তার বাবা-মা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে সিরিজ না খেলেই তিনি ফিরেছিলেন দেশে, এখন আছেন পরিবারের সঙ্গে।কিন্তু জৈব বলয় সুরায় ঢোকার ১০ দিনের শর্ত পূরন হয়নি বলে খেলার সুযীগ পাননি। অস্ট্রেলিয়ার এই কঠিন শর্ত মেনে নিতে না পেরে হারারে থেকে ফিরে আসা হতাশ বিসিবির এক পরিচালক বলেন- "মুশফিকের সঙ্গে যা হয়েছে তা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। আমরা তিনটি বিমান বন্দর (হারারে, লন্ডন, দোহা) হয়ে ঢাকায় এসেছি। তাতে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। পারিবারিক কারনে মুশফিক মাঝপথে চলে আসেন। মাত্র দু-তিনদিনের জন্য তাকে কোয়রেন্টাইনে দেওয়া উচিত ছিলো।কিন্তু সুযোগ না দেওয়াটা সঠিক কাজ হয়নি"


 অবশ্যই ক্রিকেট বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পরিচালক বলেন- "দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের জৈব বলয় নিয়ে যে চুক্তি হয়েছে তাতে মুশফিকের সুযোগ কোনো ভাবেই ছিলোনা। 


এই নিয়ে হতাশ মাহমুদুল্লাহ বাহিনী.........

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.